![]() |
\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
রমজানের অষ্টম দিন এসে, রোজার প্রকৃত শিক্ষা আরও গভীরভাবে হৃদয়ে স্থান পায়। প্রথম কয়েকটি দিনের অভ্যস্ততা, শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতির পর, এখন আমরা প্রকৃত রোজা রাখার জন্য আরও প্রস্তুত। এটি আমাদের জন্য শুধু খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকার এক নিয়মিত অনুশীলন নয়; বরং এটি আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং ঈমানের দৃঢ়তা অর্জনের এক মহান সুযোগ।
কুরআনে আল্লাহ বলেন, "তোমরা কি মনে করো যে তোমরা শুধু ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বলেই ছেড়ে দেওয়া হবে এবং তোমাদের পরীক্ষা করা হবে না?" (সূরা আল-ঊমরান: ১৪). এই আয়াতটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আল্লাহর পথে চলতে হলে আমাদের জীবনে সংকল্প, ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা দিতে হবে। অষ্টম রোজা আমাদের ধৈর্য, দৃঢ়তা এবং বিশ্বাসের পরীক্ষা নেয়, যা আমাদের আসল আত্মশুদ্ধির দিকে পরিচালিত করে। আমাদের মন ও চিন্তা যদি শুদ্ধ না হয়, তবে রোজার মূল উদ্দেশ্য পূর্ণ হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি মিথ্যা বলেছে ও তার কাজের মধ্যে খারাপ আচরণ করেছে, তার রোজা কোন কাজে আসবে না।" (সহিহ বুখারি)। তাই, রোজার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হলে আমাদের কাজ, কথা, চিন্তা এবং আচরণে শুদ্ধতা আনতে হবে। এটি আমাদের সামাজিক জীবনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, কারণ আমাদের চরিত্রের বিশুদ্ধতা সমাজের জন্য একটি মডেল হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথে অষ্টম রোজা আমাদের আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। রোজার মাধ্যমে যদি আমরা আত্মবিশ্বাসী, সদয়, সহানুভূতিশীল ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সব কিছু করি, তবে প্রকৃতভাবে আমরা তাকওয়ার পথে আরো দৃঢ়ভাবে চলতে পারব।
অষ্টম রোজা আমাদের শেখায় যে, রোজা কেবল ক্ষুধা ও তৃষ্ণা থেকে বিরত থাকা নয়, বরং আমাদের আচরণ, মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। এই মাসে অর্জিত আত্মশুদ্ধি আমাদের সারাজীবনের জন্য এক শক্তিশালী ভিত্তি হয়ে থাকবে। আসুন, আমরা রোজার প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য নিজেদের পথ চলা অব্যাহত রাখি।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন