![]() |
\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
রমজানের ষষ্ঠ দিন এসে রোজাদাররা সংযম, ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুশীলনে আরও সুদৃঢ় হয়ে ওঠেন। প্রথম কয়েকটি দিন শারীরিকভাবে অভ্যস্ত হওয়ার পর, এখন রোজার মূল শিক্ষা—আত্মশুদ্ধি, নৈতিক উন্নয়ন ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এই রোজা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রকৃত সিয়াম সাধনা কেবল খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা নয়; বরং মনের সংযম, চরিত্রের বিশুদ্ধতা ও আল্লাহভীতি অর্জন করা।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য মুক্তির পথ তৈরি করে দেন এবং এমন উৎস থেকে রিজিক দেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না।” (সূরা আত-তালাক: ২-৩)। অর্থাৎ, তাকওয়ার মাধ্যমে একজন মুমিন শুধু পরকালেই নয়, ইহকালেও কল্যাণের দ্বার উন্মোচন করতে পারেন। রমজানের রোজা সেই তাকওয়া অর্জনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
ষষ্ঠ রোজা আমাদের আত্মগঠনের পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই সময়টাতে আমাদের শুধু বাহ্যিক সংযম নয়, বরং অন্তরের পরিশুদ্ধির দিকে নজর দেওয়া উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং তদনুযায়ী কাজ করা পরিত্যাগ করেনি, আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই যে সে শুধু খাবার ও পানীয় ত্যাগ করবে।” (সহিহ বুখারি)। এই হাদিস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রকৃত রোজাদার সেই, যে তার চিন্তা, বাক্য ও কর্মকে পরিশুদ্ধ করে।
ষষ্ঠ রোজা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সংযম ও তাকওয়ার শিক্ষা যেন শুধু রমজান মাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং তা আমাদের সারাজীবনের নৈতিক ও আত্মিক পথপ্রদর্শক হয়। রোজার মাধ্যমে যদি আমরা প্রকৃত আত্মনিয়ন্ত্রণ ও চারিত্রিক উন্নয়ন করতে পারি, তবে আমরা শুধু একজন সৎ রোজাদারই নয়, বরং সমাজের জন্য একজন আদর্শ মানুষ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারব। তাই, আসুন আমরা রোজার প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে কল্যাণের পথে পরিচালিত করি।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন