.jpg) |
\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
রমজানের আঠারোতম রোজা আমাদের জন্য আত্মশুদ্ধির এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মধ্যপথ পেরিয়ে আমরা এখন এমন একটি পর্যায়ে এসেছি, যেখানে আমাদের ধৈর্য, সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় হয়েছে। এই রোজা আমাদের শিক্ষা দেয় কিভাবে ধৈর্যধারণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় এবং কিভাবে আমাদের জীবনকে আরও সংযমী ও পরিশুদ্ধ করা সম্ভব। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।” (সূরা আল-বাকারা: ১৫৩)। এই আয়াত আমাদের অনুপ্রাণিত করে ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণের পথে এগিয়ে যেতে। রোজা শুধুমাত্র খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকার নাম নয়, এটি আমাদের চিন্তা, কথা ও কর্মকে সংযত রাখার এক মহান প্রশিক্ষণ। আঠারোতম রোজা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সত্যিকারের ঈমানদার হওয়ার জন্য ধৈর্য ও সংযম অপরিহার্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রোজা হলো ঢাল, যা তোমাকে পাপ থেকে রক্ষা করে।” (সহিহ বুখারি)। আঠারোতম রোজা আমাদের শেখায়, কিভাবে আমরা আমাদের খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করে নেক আমলের পথে চলতে পারি। এটি আমাদের আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায় এবং আমাদের জীবনকে নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ করে। রমজানের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের উচিত আরও বেশি ইবাদত করা, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। বিশেষ করে এই সময়, যখন আমাদের আত্মা আরও সংযত ও ধৈর্যশীল হয়ে ওঠে, তখন আমাদের উচিত দান-সদকা ও মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করা। আমাদের আশপাশের অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করে আমরা রমজানের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করতে পারি।
আঠারোতম রোজা আমাদের ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণের এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়। এটি আমাদের শেখায়, কিভাবে সংযম ও ইবাদতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। এই রোজায় আমরা যেন নিজেদের আত্মিক ও নৈতিক উন্নয়নে আরও মনোযোগী হই, দানশীলতা ও মানবিকতা চর্চা করি এবং আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করি।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন