মন্তব্য কলাম - তৃতীয় রোজা: আত্মশুদ্ধির পথে দৃঢ় সংকল্প

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন
0

\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \

রমজানের তৃতীয় দিন এসে রোজাদাররা সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের এক নতুন স্তরে প্রবেশ করেন। প্রথম দু'দিন রোজার অভ্যাস গড়ে ওঠার পর, তৃতীয় রোজা মানুষের মনে ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতার অনুভূতি আরও গভীর করে তোলে। এটি শুধু উপবাসের ধারাবাহিকতা নয়; বরং আত্মশুদ্ধির পথে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এক মহৎ সুযোগ।

রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, যেখানে ব্যক্তি নিজেকে শুদ্ধ ও সংযমী করে তোলার সুযোগ পান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও খারাপ কাজ পরিত্যাগ করল না, তার শুধু ক্ষুধা-তৃষ্ণা সহ্য করার কোনো মূল্য নেই।” (সহিহ বুখারি)। এই হাদিস আমাদের শিক্ষা দেয় যে, রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল না খেয়ে থাকা নয়; বরং মনের পবিত্রতা, চরিত্রের উন্নতি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুত্তাকি হওয়া।

তৃতীয় রোজা আমাদের শেখায় ধৈর্য ও সংযমের চর্চা আরও সুদৃঢ় করতে। এই ধৈর্য কেবল খাবার থেকে বিরত থাকার নয়, বরং রাগ, ঈর্ষা, অহংকার, গীবত ও সকল খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্ত থাকার অনুশীলন। এক মাসের এই প্রশিক্ষণ জীবনের বাকি সময়ের জন্য একটি উত্তম অভ্যাস গড়ে তোলে।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকওয়াশীলদের উত্তম পুরস্কার দেবেন।” (সূরা ত্বলাক: ২-৩)। তাই, তৃতীয় রোজা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, রোজার আসল উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন করা এবং জীবনকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করা।

তৃতীয় রোজা আমাদের আত্মশুদ্ধির পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। এটি আমাদের ধৈর্যশীল হতে শেখায়, কু-প্রবৃত্তি দমন করতে সাহায্য করে এবং তাকওয়া অর্জনের জন্য মনকে প্রস্তত্মত করে। যদি আমরা রমজানের এই শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে আমাদের চারিত্রিক ও নৈতিক উন্নতি নিশ্চিত হবে। আসুন, আমরা রোজার প্রকৃত শিক্ষাকে আত্মস্থ করে নিজেদের সঠিক পথে পরিচালিত করি।

লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)