![]() |
\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
রমজানের দ্বিতীয় দিন এসে মুসলমানরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যান আত্মসংযম ও তাকওয়ার পথে। প্রথম দিনের রোজা রাখার পর শারীরিক ও মানসিকভাবে যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল, দ্বিতীয় রোজায় তা আরও সুসংহত হয়। এটি শুধু উপবাসের একটি ধারাবাহিকতা নয়, বরং আত্মশুদ্ধির এক ধাপে পৌঁছানোর আরেকটি সুযোগ।
প্রথম দিনের উৎসাহ-উদ্দীপনার পর দ্বিতীয় রোজা মানুষকে মনে করিয়ে দেয় যে, সংযমের এই পথচলা কেবল একদিনের জন্য নয়—এটি এক মাসের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, যা মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। রোজার প্রকৃত শিক্ষা হলো ধৈর্য ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জন করা। এই ধৈর্য কেবল ক্ষুধা ও তৃষ্ণা সহ্য করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং আমাদের আচরণ, কথাবার্তা ও নৈতিকতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেও প্রকাশ পায়।
মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।” (সূরা বাকারা: ১৫৩)। এই আয়াতের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, রোজার মাধ্যমে ধৈর্যের পরীক্ষা যেমন হয়, তেমনই আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগও আসে। তাই, দ্বিতীয় রোজা আমাদের ধৈর্যের এই চর্চাকে আরও গভীরভাবে আত্মস্থ করতে সাহায্য করে।
রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, যেখানে কেবল বাহ্যিক সংযম নয়, বরং অন্তরের সংযমও গুরুত্বপূর্ণ। মিথ্যা, গীবত, অন্যায় ও ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে থেকে আমরা নিজেদের সত্যিকারের পরিশুদ্ধ করতে পারি। দ্বিতীয় রোজা হলো সেই শিক্ষা গ্রহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা পরবর্তী রোজাগুলোর জন্য আমাদের মানসিক দৃঢ়তা তৈরি করে।
দ্বিতীয় রোজা শুধু একটি ধারাবাহিকতা নয়, এটি সংযমের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, রমজানের প্রকৃত লক্ষ্য কেবল রোজা রাখা নয়, বরং সংযম, আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জন করা। ধৈর্য, নিয়মানুবর্তিতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের চর্চা অব্যাহত রেখে আমরা যেন এই মহিমান্বিত মাসের শিক্ষাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে পারি।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন