![]() |
\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন প্রতিটি মুসলমানের জন্য এক নতুন যাত্রার সূচনা। এদিন থেকেই শুরু হয় আত্মশুদ্ধি, সংযম ও তাকওয়া অর্জনের অনুশীলন। রমজানের প্রথম রোজা কেবল একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং এটি আমাদের আত্মসংযমের প্রথম ধাপ, যা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
রোজা মূলত ইন্দ্রিয় সংযমের মাধ্যমে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়। সারাদিন ক্ষুধা-তৃষ্ণা সহ্য করার পাশাপাশি আমাদের চিন্তা, বাক্য ও কাজেও সংযম আনতে হয়। এটি ধৈর্য ও সহনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ধনী-গরিবের মধ্যে সমতা ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়। প্রথম রোজা রাখার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের শারীরিক ও মানসিকভাবে রমজানের পূর্ণতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করি।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” (সূরা বাকারা: ১৮৩)। এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট যে, রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা।
প্রথম রোজা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শুধুমাত্র উপবাস থাকাই যথেষ্ট নয়; বরং আমাদের উচিত মন, বাক্য ও কর্মকে নিয়ন্ত্রণ করা। মিথ্যা, গীবত, অহংকার, ক্রোধ ও অন্যায় থেকে বিরত থেকে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার এক অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় এই মাস।
প্রথম রোজা শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি এক নতুন শুরু—আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপ। এই দিন থেকেই আমাদের উচিত ধৈর্য, সংযম ও তাকওয়ার পথে নিজেকে পরিচালিত করা, যাতে রমজান শেষে আমরা আরও উন্নত চরিত্রের অধিকারী হতে পারি। রমজানের এই বরকতময় সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে আমাদের আত্মগঠনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন