![]() |
\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
রমজানের নবম দিন এসে রোজাদারের আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য এবং আল্লাহর প্রতি অনুগত্য আরও সুদৃঢ় হয়। প্রথম কয়েকটি দিনে শারীরিক অভ্যস্ততা গড়ে ওঠার পর, এখন রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য—তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জনের পথে আমাদের এগিয়ে চলা শুরু হয়। নবম রোজা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, রোজার মূল লক্ষ্য কেবল খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা নয়, বরং আত্মবিশ্বাস, নৈতিকতা, চরিত্র উন্নয়ন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “তোমরা তোমাদের মধ্যে এমন কিছু আছো যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জীবনযাপন করবে, তারা আল্লাহকে ভয় করবে এবং তার নির্দেশ পালনে সঠিক পথ অনুসরণ করবে।” (সূরা মুমিনুন: ১-২)। এই আয়াত আমাদেরকে চিন্তা করতে শেখায় যে, রোজা মূলত তাকওয়া অর্জনের একটি হাতিয়ার, যা আমাদের মন ও হৃদয়কে শুদ্ধ করে এবং আমাদেরকে আল্লাহর দিকে আরও নিকটে নিয়ে আসে। নবম রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন আমাদের সামনে নিজেদের চেতনাকে পরিশুদ্ধ করার সুযোগ আসে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রোজার সময় মিথ্যা ও খারাপ কাজ পরিত্যাগ করেনি, তার রোজা কোনো কাজে আসবে না।” (সহিহ বুখারি)। এই হাদিসটি আমাদের শেখায় যে, রোজা শুধু খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকা নয়, বরং আমাদের আচরণ, চিন্তা ও কাজের মধ্যে সব ধরনের খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগ করা। এছাড়া, রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করার এবং তাঁর সান্নিধ্যে পৌঁছানোর সুযোগ পাই। নবম রোজা আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দেয়, প্রতিটি রোজার দিন একটি বিশেষ সুযোগ, যেখানে আমরা নিজেকে পরিশুদ্ধ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারি।
নবম রোজা আমাদের আত্মবিশ্বাস ও তাকওয়া অর্জনের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি আমাদের শুধু আত্মসংযমের জন্য নয়, বরং নৈতিক উন্নয়ন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের এক সুযোগও প্রদান করে। রোজার প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে, আমাদের উচিত জীবনকে আরও শুদ্ধ, সত্য ও সৎ পথে পরিচালিত করা, যাতে আমরা সঠিকভাবে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন