মন্তব্য কলাম : অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা জরুরি

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন
0

\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \

অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা জরুরি। কেননা, আইন অমান্য করে আবাসিক এলাকা, কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণ করার অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চলছে ইটভাটা স্থাপন। আইনে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদনপত্র না নিয়ে কোনো ইটভাটায় ইট তৈরি করা যাবে না; অথচ এই আইন লঙ্ঘন করে ফসলিজমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিঘ্নে ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে।

অবৈধ ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে জমির উপরিভাগের মাটি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। ফসলিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করার ফলে আবাদি জমির পুষ্টি উপাদান কমে কৃষিপণ্যের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অব্যাহতভাবে টপসয়েল ব্যবহার করা হলে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে বলা আছে, কৃষিজমি, পাহাড় ও টিলার মাটি কেটে ইট তৈরি করা যাবে না। জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে ইট পোড়ানো যাবে না। আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষিজমি, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটের ভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু আইন মানা হয় না।

আমরা জানতে চাইব যে, আইন অমান্য করে কীভাবে প্রশাসনে নাকের ডগায় বসে অবৈধ ইটভাটা স্থাপন করা হয় এবং সেই অবৈধ ভাটা দিনের পর দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ তে বলা হয়েছে, ইটভাটায় ফসলি জমির উপরের মাটি ব্যবহার করলে তার শাস্তি দুই বছর কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তি ১ বছরের কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। আমরা এই আইনের কঠোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)