\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
এবার একটি সুন্দর সময়ে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সকল বীর শহীদদের। ইতিহাসের এই বিশেষ দিনে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে স্বৈরশাসনের কবল থেকে জাতিকে মুক্ত করার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে চলার মহামন্ত্র উচ্চারিত হচ্ছে তা আজ বিশ্ববাসী শুনতে পাচ্ছে। আসলে গভীরতর অর্থে, চেতনার পরিমাপে মুক্তিযুদ্ধের একটি ব্যাপক এবং বহুমাত্রিক রূপ রয়েছে। সেই পরিপূর্ণ রূপে এবার মহান বিজয় আমাদের মাঝে আবির্ভূত হয়েছে।
রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানি অপশাসনবিরোধী প্রতিটি আন্দোলনের সেই অনিবার্য চেতনা আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছে। ‘মুক্তি’ আন্দোলনের গণজাগরণ ও সংগ্রামী চেতনার স্পর্শে এক অপরিমেয় সম্ভাবনায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিল আমাদের জনতা। সেই উজ্জীবনী শক্তি একাত্তরের রক্তস্নাত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে বর্তমান সময়েও চলিষ্ণু। সংগত কারণেই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে নতুন করে মূল্যায়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কেননা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট স্বৈরশাসকের বিতারণের সময় থেকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের নবতর অভিযাত্রার সূচনা হয়। যুগান্তকারী সব পরিবর্তন-সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হওয়ার পরই আমরা বিজয় দিবস উদযাপন করছি। আশা করছি সকল হতাশার ফিরে আসার পথ যেন রুদ্ধ হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের মুক্ত চেতনা, গণতন্ত্র ও শিল্পবিপ্লবের অবাধ বিকাশ যেন প্রাপ্তির সাথে যুক্ত হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ে নিমজ্জিত ছিল। এখন সকলে মিলে আসুন বিজয়ের চেতনায় সুন্দর আগামীর পথে দৃপ্ত পদব্রজে এগিয়ে চলি।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন