ছাইদুর রহমান ।।
জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা সহ রানাগাছা শরিফপুর, লক্ষ্মীরচর, তুলশীরচর, নরুন্দি, বাঁশচড়া, ঘোড়াধাপ, ইটাইল, শ্রীপুর ইউনিয়নে চলতি আমন ধান কাটা ও মাড়াই কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা। আমন ধান সাধারণত: কৃষকরা খেতে কামলা দিয়ে কাটার পর দুই তিন শুকাতে দেন। শুকিয়ে গেলে সেই আটি বাড়ীতে এনে মাড়াই করেন। অনেক কৃষক মাড়াই মেশিন দিয়ে আবার কেউ কেউ কামলা দিয়ে মাড়াই করছেন।
প্রায় প্রতিটি কৃষকের বাড়ীতেই এখন আমন ধান মাড়াই চলছে পুরোদমে। বাজারে ধানের দাম কিছুটা ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে হাসি লক্ষ্য করা গেছে। শরিফপুর ইউনিয়নের বাদেচান্দি গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন জানান, ধানকাটা কামলা ময়না এখন জনপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা। এক বিঘাত জমির ধান কাটতে ৩-৪জন কামলার প্রয়োজন। খেতে শুকানোর পর আবার কামলা দিয়ে বাড়ীতে ধানের আটি আনতে হয়।
তিনি জানান, গতবারের মতো এবারো আমন ধানে ইঁদুর ও পোকার আক্রমন হয়েছিল। পাশাপাশি বৈরি আবহাওয়ার কারণে ধানে চিটা হয়েছে বেশি। এক বিঘা জমিতে শুকানোর পর ১২ থেকে ১৩-১৪ মনের বেশি ধান পাওয়া যাচ্ছে না। হাট বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩শ’ টাকায়। সামনে দাম আরো বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষকরা। রানাগাছার কৃষক আবেদ আলী জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছিলেন। খরচ বাদে তার কিছুটা লাভ থাকবে বলে জানান তিনি। এই মুর্হুতে গ্রামের কৃষক কৃষাণীরা ধান সিদ্ধ ও শুকানোর কাজ করছেন।
এদিকে, গতবারের চেয়ে এবার মাড়াইয়ের পর ধানের আটির দাম ভালো। একেকটি ধানের আটি ৬-৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা কৃষকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে আটি কিনে মজুত করছেন। এবার দেশে কয়েকটি জেলা বন্যায় আক্রান্ত হওয়ায় আটির চাহিদা বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে গো-খাদ্যের সংকট মোকাবিলায় এই আটি কাজে লাগানো হবে। তাই ব্যবসায়ীরা এখনি আটি কিনে মজুত গড়ছেন।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন