যুবশক্তি তৈরির সুনিপুণ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জামালপুর টিটিসি

মোঃ সাইদুর রহমান সাদী
0


মোঃ সাইদুর রহমান সাদী \

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবশক্তি তৈরির সুনিপুণ কারিগর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জামালপুর টিটিসি। জামালপুর সদর উপজেলার ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের বিনন্দের পাড়া এলাকায় আড়াই একর জমিতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, ৮৯/২, কাকরাইল, ঢাকার বাস্তবায়নে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর স্থাপিত হয় জামালপুর টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি)।

বলা বাহুল্য, প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই দেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। টিটিসির দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য এবং তার সুনামের কারণগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায় যে, এটি শুধুমাত্র জামালপুর অঞ্চলে নয়, সারা দেশেই কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করেছে।

আর এই সুনামের মূলে রয়েছে দক্ষ প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত সাফল্য। জামালপুর টিটিসির সুনামের প্রধান কারণ হল এখানকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অসামান্য পেশাগত সাফল্য। টিটিসির কোর্সগুলো অত্যন্ত মানসম্পন্ন এবং কর্মক্ষেত্রের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এর ফলে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে কাজ করতে সক্ষম হয়, যা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বৃদ্ধি করেছে।

প্রশিক্ষণ মানের কারণে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে জামালপুর টিটিসি। না বললেই নয়, এখন এর সুনাম শুধুমাত্র দেশে সীমাবদ্ধ নেই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে, বিশেষ করে সৌদি আরব, কাতার, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখানকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ, এখানকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ এবং কর্মক্ষম। ফলে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জামালপুর টিটিসির প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণে এই প্রতিষ্ঠানের অবদানও অপরিসীম। কেননা এই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে যে, কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই জামালপুর টিটিসি তার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের আধুনিক সরঞ্জাম ও শিক্ষণ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে। এ কারণে, জামালপুর টিটিসি থেকে যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে বের হয়, তারা সহজেই বিভিন্ন শিল্পখাতে প্রবেশ করতে পারে। টিটিসি'র সামাজিক অবদানও কম নয়। যথা, দারির্দ্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে টিটিসির। কেননা, জামালপুর টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক যুবক ও যুবতী নিজেদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। তারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ তৈরি করে নিজেদের পরিবারকে দারির্দ্যের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছে। অনেক পরিবারে এখন সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে, যা একটি ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিফলন।বেকারত্ব হ্রাসের ক্ষেত্রেও রয়েছে টিটিসির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। জামালপুরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হলেও টিটিসি সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা শুধু দেশেই নয়, বরং বিদেশেও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। এর ফলে, বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

শুধু তাই নয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে টিটিসি অর্জন করেছে ব্যাপক সুনাম। জামালপুর টিটিসি বিশেষভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করেছে। এসব প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি তাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে এবং তারা সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ তাদের জীবনমান উন্নত করতে সহায়তা করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে প্রশিক্ষণ প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক টিটিসি সে বিষয়ে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে।

সে কারণে জামালপুর টিটিসির আরেকটি গৌরবজনক দিক হলো, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে এর ভূমিকা। আইটি, সেলাই এবং হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন ট্রেডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটি নারীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামও চালু করেছে, যা তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলছে। নারী শিক্ষার্থীরা সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির সুনামকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে টিটিসির সুনাম বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের সাফল্যের গল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তন্মধ্যে কিছু সাফল্যের গল্প তুলে ধরছি যা প্রতিষ্ঠানটির কার্যকারিতা এবং সুনামকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে।

জামালপুর টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মোহাম্মদ রফিক নামে এক প্রশিক্ষণার্থী এখন সৌদি আরবে একটি বড় নির্মাণ কোম্পানিতে ইলেকট্রিক্যাল টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। তার পেশাগত দক্ষতা এবং কর্মদক্ষতার কারণে কোম্পানি তাকে উচ্চ পদে উন্নীত করেছে, এবং তিনি প্রতি মাসে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। তার সফলতা জামালপুর টিটিসির জন্য একটি বড় সাফল্য।

উদ্যোক্তা হিসেবে সফলতা অর্জন করেছেন আসমা খাতুন। যিনি টিটিসির কম্পিউটার ও আইটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ। তিনি অনলাইনে কাজ করে মাসিক লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন এবং নিজের একটি ফ্রিল্যান্সিং দল পরিচালনা করছেন। তার এই সফলতা জামালপুর টিটিসির জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় পর্যায়েও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও রয়েছে টিটিসির শিক্ষার্থীদের অসামান্য অবদান। কেননা জামালপুর টিটিসির শিক্ষার্থীরা শুধু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল হয়নি, বরং স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান তৈরিতেও ভূমিকা রাখছে। অনেক শিক্ষার্থী স্থানীয়ভাবে ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কশপ, মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার এবং ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা স্থাপন করেছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

টিটিসির প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের বৈচির্ত্য এবং কর্মক্ষেত্রের চাহিদাও ব্যাপক। জামালপুর টিটিসির আরেকটি বড় সাফল্য হলো এর প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের বৈচির্ত্য প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এসব ট্রেডের মধ্যে অন্যতম হলো:

তিন মাস মেয়াদী নিয়মিত কোর্স। যথা- জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস, জেনারেল ইলেকট্রনিক্স, ওয়েল্ডিং এন্ড ফেব্রিকেশন, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং, অটোম্যাকানিক্স, কম্পিউটার অপারেশন।

তিনমাস মেয়াদী কম্পিউটার অপারেশন (স্ব-নির্ভর) তিন মাস মেয়াদী (অঝঝঊঞ প্রকল্প)- ইলেকট্রিক্যাল ইন্সট্রলেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স, ওয়েল্ডিং এন্ড ফেব্রিকেশন, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং, ড্রাইভিং, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং। সেখানে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ৮০/-টাকা যাতায়াত ও টিফিন এবং ভাতা বাবদ মাসিক ছেলে-১৫০০/- ও মেয়ে-২০০০/- প্রদান ও প্রশিক্ষণ শেষে চাকুরী প্রাপ্তিতে সহযোগীতা করা হয়। 

প্রভাতী প্রকল্প (৪৫ দিন মেয়াদী) যথা- ইলেকট্রিক্যাল ইন্সট্রলেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স, কনজুমার ইলেকট্রনিক্স, ওয়েল্ডিং এন্ড ফেব্রিকেশন, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং, মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন,  কম্পিউটার অপারেশন।

এছাড়া, জামালপুর টিটিসি নতুন প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো আধুনিক কোর্স চালু করেছে। এসব কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। ভবিষ্যতের লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে টিটিসি।

জামালপুর টিটিসির সুনাম বজায় রাখার পাশাপাশি আরও উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। টিটিসি তার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরও আধুনিক করতে এবং প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছে।

অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম:

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে টিটিসি অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। এটি বিশেষত দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য বড় একটি সুযোগ সৃষ্টি করবে।

উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র:

জামালপুর টিটিসি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজনীয় তথ্য, দিকনির্দেশনা এবং অর্থনৈতিক সহায়তা পাবে। জামালপুর টিটিসি দেশের কারিগরি শিক্ষাক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল নাম। এর প্রশিক্ষণের মান, শিক্ষার্থীদের সাফল্য এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে এর গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠানের সুনামকে আরও দৃঢ় করেছে। জামালপুর টিটিসির এই সুনাম ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে, এবং এটি দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকবে।

এ বিষয়ে প্রশিক্ষকদের বক্তব্য হলো-

জামালপুর টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) দেশের কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এক অন্যতম প্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং দক্ষ শিক্ষকদের দ্বারা প্রশিক্ষিত হন, যা তাদের কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনে দেয়। এই প্রতিবেদনে টিটিসির কিছু স্যারদের বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য অবদান রেখেছেন। টিটিসির মধ্যমনি হিসেবে রয়েছেন অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ হারুন আল মামুন। তিনি বলেন, “আমরা এখানে শিক্ষার্থীদের শুধু কারিগরি দক্ষতা নয়, বরং তাদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার চেষ্টা করি। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একজন দক্ষ পেশাজীবীতে পরিণত করা। জামালপুর টিটিসির সনদ দেশের বাইরে এবং বিদেশে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য, এবং এই সাফল্য আমাদের প্রশিক্ষণের মানের প্রমাণ।”

চীফ ইন্সট্রাক্টর (ডিজেল/অটোমেকানিক্স) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, “এখানে নারীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছি। আমরা তাদের শুধু কারিগরি শিক্ষা দিই না, বরং উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগও তৈরি করছি। নারীরা আজকাল ব্যবসা ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের সফল করছে, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”

প্রশিক্ষক মো. আবজাল খাঁন  বলেন, “জামালপুর টিটিসির প্রশিক্ষণ ল্যাবগুলো আধুনিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জামে সজ্জিত। আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করি যাতে তারা হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা দক্ষ হয়ে ওঠে, যা তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ বাড়ায়।”

প্রশিক্ষক তাহমিনা তরফদার বলেন, “জামালপুর টিটিসির কোর্সগুলো তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা মনোভাব তৈরি করছে। আমরা ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রদান করছি। আমাদের প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা এখন নিজেদের ব্যবসা শুরু করছে, যা আমাদের প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের একটি বড় দিক।”

মোঃ সোহান ইসলাম (শিক্ষার্থী) বলেন, “আমি জামালপুর টিটিসিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে অত্যন্ত খুশি। এখানে আমি যেসব দক্ষতা অর্জন করেছি, তা আমাকে আমার পেশাগত জীবনে সাহায্য করেছে। জামালপুর টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) দেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে এক স্বীকৃত নাম। এর সুনাম শুধু জামালপুর জেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছড়িয়ে পড়েছে। টিটিসি ছাত্রদের জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যেখানে তারা তাদের কর্মজীবনকে উন্নত করতে এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

সর্বশেষে এটাই আমার উপলব্ধি জীবনে এগিয়ে যেতে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই, আর সে কাজ করে আমাদের জীবনে বিশেষ ভূমিকা রাখা জামালপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টিটিসিরও বিকল্প নেই।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

আমাদের ওয়েবসাইট কুকি ব্যবহার করে থাকে। Check Now
Ok, Go it!