নিজস্ব প্রতিবেদক \
জামালপুর টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) থেকে এসেট প্রকল্পের অধীনে ২ নভেম্বর এসেট দ্বিতীয় ব্যাচের ড্রাইভিং কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। এই ব্যাচে ২৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন, এবং প্রশিক্ষণ শেষে সবাই চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। প্রশিক্ষণ পরিচালনায় ছিলেন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক আবজাল খাঁন।
জানা যায়, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণটি ছিল তিন মাসব্যাপী। প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদেরকে পেশাগত ড্রাইভিংয়ের জন্য উপযুক্ত করে তোলা এবং তাদেরকে নিরাপদ ও দক্ষ ড্রাইভার হিসেবে গড়ে তোলা। এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের যানবাহন পরিচালনার মৌলিক নিয়ম-কানুন, ট্রাফিক সাইন ও রোড সাইন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। তারা সড়কে নিরাপত্তা বজায় রাখা, জরুরি অবস্থা মোকাবিলা এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে শিখে। এই অংশে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় গাড়ি চালানোর সময় নিজের এবং অন্যদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল নির্দেশনা পালনের ওপর।
ব্যবহারিক অংশে শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষকের হাতে-কলমে ড্রাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ নেন। এতে তারা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ, সঠিকভাবে পার্কিং, লেন পরিবর্তন, এবং বিপদ এড়ানোর জন্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে শিখে। পাশাপাশি গাড়ির বিভিন্ন যান্ত্রিক অংশের পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যা তাদের ভবিষ্যতে দক্ষতার সঙ্গে যানবাহন পরিচালনায় সাহায্য করবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীফ ইন্সট্রাক্টর (ডিজেল/অটোমেকানিক্স)মোঃ মিজানুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর তাহমিনা তরফদার এবং রুকনুজ্জামান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
মোঃ মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই প্রশিক্ষণটি শুধু ড্রাইভিং শেখানোর জন্য নয়, বরং নিরাপদ ও দক্ষ ড্রাইভার তৈরির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, এই প্রশিক্ষণটি শিক্ষার্থীদের জীবন পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মজীবনে তারা সফলতা অর্জন করবে।”
সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর তাহমিনা তরফদার প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশংসা করে বলেন, “এসেট প্রকল্পের এই উদ্যোগ কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে সাহায্য করবে এবং দেশের যুবকদের নতুন দিগন্তে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
কোর্সের শেষে অংশগ্রহন করা সকল শিক্ষার্থী সফলভাবে উত্তীর্ণ হন এবং তাদেরকে আনুষ্ঠানিক সনদ প্রদান করা হয়। এই সনদ তাদের ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে কাজে আসবে। অনেক শিক্ষার্থীই এই সনদ ব্যবহার করে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করতে পারবেন। এই প্রশিক্ষণটি শিক্ষার্থীদের আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করবে এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে। উপস্থিত সকল অতিথি এবং ইন্সট্রাক্টরগণ এই ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং আশা করেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে অনেক বেকার যুবক কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভ করবে। এসেট প্রকল্পের আওতায় এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যুব সমাজের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেশে সড়ক নিরাপত্তার মান উন্নত করতে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন