\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য যে কোন মূল্যে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ হাসপাতালটিকে প্রকৃত অর্থে জনবান্ধব করতে চাইলে এর কোন বিকল্প নেই। কেননা এই সরকারি হাসপাতালটিতে দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুতেই কমছে না; বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা আরও বেড়েছে। প্রতিনিয়ত এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা দালালের খপ্পরে পড়ে কষ্টার্জিত অর্থ খোয়াচ্ছেন।
বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এসব দালালের দৌরাত্ম্য কতখানি বাড়লে তারা প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে যায় প্রাইভেট ক্লিনিকে, তা সহজেই অনুমেয়। ওই দালালদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত বলে মনে করি আমরা।
বস্তুত এই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন দালালদের খপ্পরে। রোগী ভর্তি থেকে শুরু করে ওষুধ কিনতে এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে দালালদের ফাঁদে পড়ছেন রোগীর স্বজনরা। জানা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকেই টার্গেট করা হয় রোগীদের। এরপর ওয়ার্ড পর্যন্ত পিছু নেয় এসব দালাল। ন্যায্যমূল্যে ওষুধ কিনে দেওয়ার কথা বলে রোগীর স্বজনদের নিয়ে যাওয়া হয় নির্দিষ্ট ওষুধের দোকানে। সেখানে আদায় করা হয় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা। রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বাধ্য করা হয় হাসপাতালের নিকটবর্তী প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেম্বার ও ওয়ার্ডের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকে দালাল। রোগী চিকিৎসকের চেম্বার থেকে বের হলেই দালাল ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চলে যায় নির্দিষ্ট ওষুধের দোকান বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এ চিত্র জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ওপেন সিক্রেট বিষয়। অভিযোগ রয়েছে, অনেক চিকিৎসকও এ অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত।
এর ফলে একদিকে রোগী ও তাদের স্বজনরা যেমন হয়রানির শিকার ও সর্বস্বান্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালটিকে দালালমুক্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। দালালদের কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে হাসপাতালটিতে ঘন ঘন অভিযান চালানো উচিত বলে মনে করি আমরা।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন