মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল: |
দালালদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে জামালপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এই অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মচারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জামালপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গড়ে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। ঘুষ দিলে কাজ হয়ে যায় বিদ্যুৎ গতিতে, আর না দিলেই চরম ভোগান্তির শিকার হন পাসপোর্ট আবেদনকারীরা।
তবে পাসপোর্টের কর্মকর্তাদের দাবি, অফিসে কোনো দালাল চক্র নেই।
এদিকে, দালাল ও অসাধু কর্মচারীদের দৌরাত্ম্যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষজন। বাড়তি টাকা ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট। একদিকে দালাল চক্রের অর্থ বাণিজ্য, অন্যদিকে পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়মের কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছেন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা।
দালালরা বলছেন, পড়াশোনা না জানা ও পাসপোর্ট ফরম পূরণে অজ্ঞতা রয়েছে এমন মানুষজনকে সহযোগিতা করে তার বিনিময়ে কিছু অর্থ পান তারা। তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দালালদের দৌরাত্ম্যে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। একাধিক সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে ফরম জমা দিলে সেই ফরম সহজে জমা দেওয়া যায়। দালালদের আশ্রয় না নিলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা হয়রানি করে থাকেন। তারা পাসপোর্ট ফরমে সংকেত ব্যবহার করেন। এছাড়া সেখানে কর্মরত কিছু আনসার সদস্যরাও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মাধ্যমেই পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়তি টাকার ভাগ পান।
ভুক্তভোগীদের দাবি, ঘুষ না দিলে ফরম পূরণে সব তথ্য ভুলে ভরে যায়, আর ঘুষ দিলে ভুল সহজেই নির্ভুল হয়ে যায়।
আর পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশে কেউ কেউ দোকান খুলে বসেছেন দালালী করার জন্য। আবার ভ্রাম্যমান দালালদের সংখ্যাই বেশি। তবে যাই হোক, আমরা চাই জামালপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দালালমুক্ত হোক। চাই পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা সঠিক সেবা পাক সঠিক মূল্যে। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে কেউ যেন কালো থাবা বসাতে না পারে। তাই এবিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি যেমন বাড়ানো প্রয়োজন। তেমনি প্রয়োজন দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা। কেননা দাবি একটাই, জামালপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত করতে হবে।
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন