শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরে স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৫টি উপজেলা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্য খামার আমন ধানক্ষেত ও সবজিক্ষেত। এইসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান ও ত্রান বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন শুকরিয়া নবজাগরণ ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আড়াই শতাধিক আটকা পড়া পরিবারকে উদ্ধার করেন। এছাড়া রানীগাঁও,পোড়াগাঁও,বিহারিপাড়,বরইতার সহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রান বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা। শুকনো ত্রান সামগ্রী মধ্যে ছিল চিড়া, মুড়ি, মোমবাতি, পানি বিস্কুট, গ্যাসলাইট। ভারি খাবারের মধ্যে ৫ কেজি চাল, ০.৫ কেজি ডাল, ১ কেজি আলু, ০.৫ লিটার তেল, পিয়াজ ১ কেজি, শুকনা মরিচ ১০০ গ্রাম। শিশু খাদ্য ৫০ প্যাকেট ও স্যানেটারি ন্যাপকিন ৩০ প্যাকেট। মেডিকেল সেবা মধ্যে নাপা,স্যালাইন,ওমিপ্রাজল, মেট্রনিডাজল।
শুকরিয়া নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম জানান, শেরপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় আমাদের টিম রেসকিও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আড়াই শতাধিক পরিবারকে উদ্ধার করেন।
দুর্গত এলাকায় পাঁচশো পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৩০০ পরিবারকে ভারি খাবার এবং শিশুদের জন্য শিশু খাদ্য ও স্যানিটারি ন্যাপকিন দেয়া হয়েছে। একশো পরিবারকে মেডিকেল সেবা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন