মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল |
অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়, এখনও টনক নড়েনি রেল কর্তৃপক্ষের তাই বৈষম্য থেকে মুক্তিও মিলেনি জামালপুরবাসীর।
আমরা দ্ব্যর্থহীনকন্ঠে আবারও বলতে চাই, আমাদের জামালপুরের গ্রামীণ সড়কের রেলক্রসিংগুলোতে যানচলাচল বন্ধ নয় বরং নিরাপদ করা জরুরি। তাই জনস্বার্থে রেলক্রসিংগুলোতে খুঁটি গেড়ে যানচলাচল বন্ধ করা অনতিবিলম্বে বন্ধ করুন। কেননা গ্রামীণ সড়কে যানচলাচলের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এই সড়কগুলোতে যানচলাচল এতোটাই জনগুরুত্বপূর্ণ যে এর কোন বিকল্প নেই। রেলচলাচল যেমন নির্বিঘ্ন করা জরুরি। তেমনি গ্রামীণ সড়কে হালকা যান চলাচলও নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করা জরুরি। এই রেলক্রসিংগুলো নিরাপদ করতে স্পীড ব্রেকার ও গেইট কিপার নিয়োগ করা যেতে পারে। তা না করে খুঁটি গেড়ে যানচলাচলই বন্ধ করে দেওয়া কোন যুক্তিতেই সমীচীন নয়। অথচ তাই করা হয়েছে। জামালপুর সদর উপজেলার ১৩নং মেষ্টা ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ির পাশ দিয়ে চলে যাওয়া একটি সড়ক দিয়ে ২০টি গ্রামের মানুষের প্রয়োজনে যানচলাচল করে থাকে। অথচ এই সড়কের প্রায় শেষ প্রান্তে জামালপুর টু সরিষাবাড়ি সড়কের পাশ ঘেঁষে চলে যাওয়া রেললাইনকে ক্রস করা এই সড়কে পাকা খুটি গেড়ে যানচলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা সত্যি অবিবেচনাপ্রসূত ও নিন্দনীয় কাজ হয়েছে। যা জনমনে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। রেলবিভাগের সাথে জনগণের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই সড়কটি থেকে খুটি তুলে পূণরায় যানচলাচলের জন্য অবমুক্ত করে প্রয়োজনে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করে নিরাপদ করার জন্য অনতিবিলম্বে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। একই সাথে জামালপুর থেকে ব্রহ্মপুত্র সেতু পর্যন্ত যেখানে যেখানে এরকমভাবে রেললাইনের ক্রসিংগুলো এভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেগুলোকেও জনসাধারণের যান চলাচলের জন্য অবমুক্ত করে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করার মাধ্যমে নিরাপত্তা বিধান করার জন্য দাবী জানাচ্ছি। আমরা আশা করবো জননিরাপত্তার প্রশ্নে জনদূর্ভোগ বাড়ানো বন্ধ করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবেন, অচীরেই বন্ধ করা সড়কগুলো অবমুক্ত করবেন। আমরা এই প্রত্যাশায় রইলাম।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন