\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
“বিগত সময়ের উন্নয়নের নমুনা- বৃষ্টি হলেই যমুনা” এই কথা যেন শতভাগ প্রযোজ্য জামালপুর শহরের ক্ষেত্রে। কেননা সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জামালপুর পৌরবাসীকে। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাচ্ছে জামালপুর শহরের প্রধান সড়কসহ পৌর এলাকার প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লা। এতে করে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টির পানিতে প্রধান সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনেক কষ্ট হলেও নেই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের কোন লেশ। যা যথার্থই হতাশাজনক।
শহরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া পৌর এলাকার ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করা, বংশখাল ও গবাখালে ময়লা আবর্জনা জমে ভরাট হওয়ার উপক্রম হলেও এদিকে নজর নেই পৌরকর্তৃপক্ষের। তাই চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে শহরবাসীকে। বিগত সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে চচরম উদাসীনতা ছিল বলেও অভিযোগ করেন অনেকে। পৌর এলাকার মেডিকেল বাইপাস সংলগ্ন এলাকার নিচুজমিগুলো ভরাট করে প্লট বাণিজ্য করার কারণে শহরের জলবদ্ধতা দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে। ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়,খলিশাকুড়ি নামের বিশাল একটি বিল ভরাটের মহোৎসব চলছে। একশ্রেণির ভূমিদস্যুচক্র বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে এখানকার বিপুল পরিমাণ সরকারি খাসজমিও ভরাট করে দখলে লিপ্ত ছিল। তাই শহরের পানি বের হতে না পেরে সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় জামালপুর শহর। মূলত যে পথ দিয়ে পানি বের হতো সে পথগুলো ভূমিদস্যুরা বালি ফেলে বন্ধ করে ফেলেছে এবং এখনও ফেলছে। জামালপুর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এগুলো পুনরুদ্ধার করে খাল খনন করা সময়ের দাবী। জামালপুর শহরবাসীকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে বাঁচাতে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপের বিকল্প নেই। আমরা এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চাই। আমরা আশা করবো বর্তমান জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন