নিজস্ব প্রতিবেদক \
দেশজুড়ে রাষ্ট্রসংস্কারের আমূল পরিবর্তনের ধারাবাহিকতার ছোঁয়ায় জামালপুর সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসেও ইতিবাচক পরিবর্তন আর সব ধরনের ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ বিরাজমান থাকার পাশাপাশি দলিল সম্পাদনে নজীরবিহীন জনবান্ধব সেবায় সন্তুষ্ট দলিল লেখকগণসহ সকল পর্যায়ের সেবাপ্রার্থীগণ। তবে এই ইতিবাচক পরিবর্তনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে দালাল আর মধ্যস্বত্ত্বভোগী একটি চক্র। এই চক্রের তান্ডবে বিগত সময়ের মতই প্রকৃত দলিল লেখকগণ অনেকাংশেই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। প্রকৃত দলিল লেখকগণ দালালমুক্ত পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করে দালাল ধরতে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধির পাশাপশি সেনাবাহিনীর ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে সাবরেজিষ্ট্রার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করলেও দালালদের হম্বিতম্বি আর পেশীশক্তির কাছে নিরাপত্তার প্রশ্নে অনেকটাই জিম্মি হয়ে পড়েছেন অফিস সংশ্লিষ্টরা।
বলা বাহুল্য, জামালপুর সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিষ্টার শাহাজাহান আলী বিপিএএ যোগদানের পর থেকেই ইতিবাচক পরিবর্তনের সুবাতাস বইতে শুরু করে জামালপুর সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন সৎ, যোগ্য এই সব্যসাচী কর্মকর্তার যোগদানের পর থেকে অফিসের যাবতীয় কর্মকাণ্ডে বিরাজমান ছিল স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই তিনি এই অফিস থেকে সকল অনিয়ম ও দুর্নীতিকে নির্বাসন দিতে বদ্ধপরিকর থাকায় সকল বাঁধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে সরকারি রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড গড়ে তুলেছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টা আর যথোপযুক্ত সাহসী পদক্ষেপের কারণে প্রকৃত দলিল লেখকগণ যেমন সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তেমনি দূর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত একটি গোষ্ঠী অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পেরে খোদ সাব-রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রকার ষড়যন্ত্র করেও ব্যর্থ হয়েছে। এত কিছুর পরও কর্তব্যকর্মে অনড় সাব-রেজিষ্ট্রার তার অসীম সাহসীকতায় সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নাগরিক সেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে সমস্ত অফিসে ইতিবাচক পরিবর্তন নিশ্চিত করেছিলেন। এ বিষয়ে সেসময় রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ডসহ বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় তার ইতিবাচক কমতৎপরতার সংবাদ প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছিল। এদিকে সময়ের বিবর্তনে স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে বর্তমানে রাষ্ট্রীয় আমূল সংস্কারের এ সময়ে তিনি যেন হালে পানি পেয়েছেন। তার ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা আর অদম্য মনোবলে সে এখন তার অফিসটিকে শতভাগ দূর্নীতিমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। না বললেই নয়, গত ২১ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখ বুধবারে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিনি দলিল সম্পাদন করেছেন ১শ ১১টি। যা বিগত যে কোন সময়ের মধ্যে সর্বাধিক। এত স্বল্পসময়ে এত বেশি সংখ্যক দলিল সম্পাদন এককথায় অসম্ভব। আর সেটাই তিনি করে দেখিয়েছেন। তার এই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ফসল ঘরে তুলতে পেরে সন্তুষ্ট দলিল লেখকগণসহ সেবাপ্রার্থীগণ। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক দলিল লেখক জানান, জামালপুর সদর সাব-রেজিষ্টার শাহাজাহান আলী বিপিএএ স্যার যোগদানের পর এ অফিসে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি যেমন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তেমনি বর্তমানে অফিসে যে কোন দলিল সম্পাদনে সরকারি সকল নিয়ম কানুন মেনে চলার পাশাপাশি এবং ট্র্যাকার সিস্টেমের কারণে জাল-জালিয়াতি করার কোন সুযোগও অবশিষ্ট নেই। তাই আমরা ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে সঠিকভাবে দলিল করতে পেরে সন্তুষ্ট।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর সাব-রেজিষ্টার শাহাজাহান আলী বিপিএএ বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতার কারণে দুর্নীতিমুক্তভাবে অফিস পচিালনা করতে পেরে সত্যিই আনন্দিত ও সন্তুষ্ট। সুযোগ্য জেলা রেজিষ্ট্রার জহুরুল ইসলাম স্যারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন, কঠোর নির্দেশ ও সার্বক্ষণিক নজরদারির কারণে অত্র অফিসে শতভাগ নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বরাবরের মতো আগামী দিনগুলোতেও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন