দেশ ও দশের উন্নয়নে নিবেদিত থাকুক দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন

সৈয়দ মুনিরুল হক নোবেল 

জামালপুরের অন্যতম পাঠকপ্রিয় স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনেক দেরিতে হলেও ডিএফপি তালিকাভুক্ত হওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। পাশাপাশি এই পত্রিকা পরিবারের সবাইকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আমি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, লালন ও পরিচর্যায় স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এদেশের গণমাধ্যম দেশ ও জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও অতীতের স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করা হয়েছিল নির্লজ্জভাবে। এরই ধারাবাহিকতায় সাহসী, নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন পত্রিকাটি অব্যাহত ভূমিকা পালন করলেও ফ্যাসিবাদী সরকারের মদদপুষ্ট প্রশাসন পত্রিকাটি ডিএফপির সব সূচকে তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেও এতোদিন পত্রিকাটির সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করে এসেছে। যা সত্যিই দুঃখজনক।

আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই একমাত্র পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক এবং প্রকাশক মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেলের অসীম ধৈর্য্য, সাধনা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন আজ সফলতার আরও একটি ধাপ পেরিয়ে যথার্থই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ইতিমধ্যে দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট সকলের নজর কেড়েছে, অর্জন করেছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের গণআস্থা।

আমি আশা করি, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার পাঠকের সকল চাহিদা ও পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সকল সংস্কার ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পাঠকের মাঝে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হবে দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন। পাশাপাশি স্বাধীন গণমাধ্যমের চেতনায় বিশ্বাসী, দেশপ্রেমিক প্রজন্ম তৈরিতে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন পত্রিকাটি অতীতের ন্যায় আগামী দিনেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশ ও দশের উন্নয়নে নিবেদিত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি এবং প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই।

লেখক: প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব ও প্রধান সম্পাদক, দৈনিক জামালপুর দিনকাল।