নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবীতে জামালপুরের ইসলামপুর আইএইচটির শিক্ষার্থীরা জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থী ভান্ডারীসহ ভোক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তারা প্রথমে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানী ও নির্যাতন করা ডা.শাহ মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান নামে একজন শিক্ষকের বিচার ও অপসারণ চেয়ে আন্দোলন করে আসছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মোখলেছুর রহমান প্রতিষ্ঠানের আসার পর থেকেই হোস্টেলে সীট বানিজ্য, খাবার বাণিজ্য ও পাঠদানে অবহেলাসহ নানাভাবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রেখেছিলেন তিনি। ২ থেকে ৩ ঘন্টা ক্লাস নিলেও প্রভাষক মোখলেছুর রহমান ১০মিনিটের বেশী পাঠদান করেন না। ক্লাসে মৌলবাদী কথা বলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেন। হোস্টেলের ছাত্রীদের নিয়ে দেহ ব্যবসাসহ নানা কুরুচি পূর্ণ মন্তব্য করে থাকেন তিনি। প্রতিবাদ করলেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নাম্বার কম, সাইলেন্ট এবসেন্ট, পরীক্ষায় ফেল, ছাত্রত্ব বাতিল ,হোস্টেলের সীট বাতিলের হুমকিসহ অভিভাবকদের ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানান মন্তব্য ও হয়রানী করেছেন মোখলেসুর রহমান ।
এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তার অপসারণ দাবী করে গত ৪ মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে ভোক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। সরকার পতনের আগে এই নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত টিমও গঠিত হয়। তদন্তটিম গঠন করায় বিচারের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্হগিত করে। সরকার পতনের পর রহস্য জনক কারণে ওই অভিযুক্ত শিক্ষক মোখলেছুর রহমান কয়েকজন শিক্ষক ও কিছু শিক্ষার্থীকে ম্যানেজ করে আবারও কলেজে আসার পায়তারা শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে কলেজে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসব ঘটনাক কেন্দ্র করে শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে কলেজের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থী সাহারুল(২৪), রনি(২৩), মােহাম্মদ ভান্ডারী (২২), নবীন (২১), মাসুদ মিয়া (১৯) ও রাকিব (২১) সহ কম্পক্ষে ৯/১০জন গুরুত্বর আহত হয়। আহতরা আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী মােহাম্মদ ভান্ডারী জানান, "অভিযুক্ত শিক্ষক মোখলেসুর কলেজের শিক্ষক ডাক্তার নাফিসুর রহমান তাশদীদ,শাহজাহান কবীর ও রবি এবং কিছু ছাত্র ম্যানেজ করে তার দলভারী করে আন্দোলন কারী শিক্ষার্থীদের উপর বাহিরাগত সন্ত্রাসী মাস্তান ক্যাম্পাসে ঢুকিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ ও নির্যাতন করছে। ক্যাম্পাসে আমাদের কোন নিরাপত্তার নেই। অধ্যক্ষ আমাদের নিরাপত্তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। স্হানীয় শিক্ষক তাশদীদ আমাকে বিভিন্ন সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এখন
আমরা কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষক মোখলেসুর রহমান, শিক্ষক নাফিসুর রহমান তাশদীদ, শাহজাহান কবীর ও রবিকে কলেজে থেকে বহিষ্কার করা না হলে আমরা কলেজে ফিরবো না। অভিযুক্ত শিক্ষকদের কলেজ থেকে অপসারণ চাই। তা না হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিব।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন