\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \ |
জামালপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত হোটেল, ফুড প্লেস, রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অবাধে পঁচা বাসি খাবার বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসব খাবার খেয়ে প্রতিনিয়ত পেটের পীড়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রেস্তোরাঁগুলোতে সংরক্ষিত খাবারের পাশে রয়েছে ময়লা ফেলার ঝুড়ি, সব সময় খোলা খাবারের উপর মাছি উড়ে এসে বসছে। রান্না করা তরকারিগুলো দিনের পর দিন শুধু গরম করে করে গ্রাহকদের পরিবেশন করা হচ্ছে। অভিযোগ আছে, বেশিরভাগ খাবার হোটেলে পোকাধরা সবজি কমদামে কিনে এনে রান্না করা হয়। সালাতেও পাকা ও ফাটা শসা, পাকা লেবুসহ পেঁপে ব্যবহার করা হয়। রান্নাঘরের পরিবেশও মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর। এছাড়াও প্রতিদিনের খাবার বিক্রি না হলে পরের দিনের জন্য ফ্রিজে জমিয়ে রাখা হয়। এসব খাবার পরে গরম করে খাওয়ানো হয় ক্রেতাকে। সিঙ্গারা-সমোচা ভাজা হচ্ছে অনেকদিনের পোড়া তেল দিয়ে। তাছাড়া খাবারে নিম্নমানের তেল, খাবার সোডা, টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় খাবারের মধ্যে চুল পড়ে থাকে। খাবারের মধ্যে পড়ে থাকা ছোট একটা চুল অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। চুল খাবারে ব্যাক্টেরিয়া বহন করে। এছাড়া স্বাস্থ্য সম্মতভাবে খাবার পরিবেশন করা হয় না।
না বললেই নয় বিভিন্ন কারণে মানুষজন হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবার কিনে খায়। তারাসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও এসব খাবার খেয়ে ভয়াবহ ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মানা হচ্ছে না কোন আইন।
অথচ দীর্ঘদিন এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ক্যান্সার, আলসার, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা রোগ হতে পারে। তাই জামালপুর শহরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযান পরিচালনা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আশা করবো নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জামালপুর শহরের এসব মুনাফাখোর হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন