আলোচিত সেই ছাত্রলীগ নেতার মদের বোতল হাতে থাকা ছবি ভাইরাল

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন
0

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বকশীগঞ্জের সেই লালের সেল্টারদাতাদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় এই খবরের উপর ভিত্তি করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ছাইদুর রহমান লালকে নিয়ে। এবার সেই লালের হাতে মদের বোতল থাকা এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে বকশীগঞ্জে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা থেকে হঠাৎ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে নিয়ে আসায় ছাইদুর রহমান লালের ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। গত ৪ এপ্রিল রাতারাতি শ্রমিক নেতা বনে যান ছাইদুর রহমান লাল। এই কমিটি আনার পরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। যদিও তিনি পরিবহন শ্রমিক বা কোন পরিবহনের মালিক নয়। তবুও স্থানীয় এমপির নাম ভাঙিয়ে শ্রমিক নেতা হয়ে এখন আলোচনার পাত্র হয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাবেক একাধিক নেতা ও সাবেক ছাত্র নেতা জানান, লাল মূলত এমপির সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেকে এমপির কাছের লোক বলে জাহির করেছেন। তিনি দাবি করেন তার কাছে এমপির ফোন নম্বর আছে এবং তাকে চাইলে ফোন দিতে পারেন। এমপি নূর মোহাম্মদের অগোচরে নিজেকে তার কাছের লোক পরিচয় দিয়ে ছাইদুর রহমান লাল হয়ে যান শ্রমিক নেতা লাল। সারজমিন তদন্তে জানা যায় আদতে এটি একদমই সঠিক তথ্য নয় – সকল ধরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার বর্তমান এমপি মহোদয় নূর মোহাম্মদ। আসলে ছাইদুর রহমানের লালের মূল সেল্টারদাতা কে ? বকশীগঞ্জ উপজেলায় সেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আর এই সমালোচনাজুড়ে রয়েছেন ঘুরে ফিরে দুই তিনটি নাম। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম ইদু ও বর্তমান এমপির ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাত্তারের নাম। কথিত রয়েছে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাত্তার ও নজরুল ইসলাম ইদুই শ্রমিক নেতা লালের মূল সেল্টারদাতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, ছাইদুর রহমান লাল একজন মাদকাসক্ত। তার হাতে মদের বোতল থাকা একটি ছবি ইতি মধ্যে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার অর্থের যোগানদাতা হিসেবেও নজরুল ইসলাম ইদুর নাম রয়েছে। লালের সাথে নজরুল ইসলাম ইদু আর ইদুর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নজরুল ইসলাম সাত্তারের। যেহেতু তারা ক্ষমতাবান তাই তাদের থেকে মাদক নিতে তারা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। নানা কাজে এমপি মহোদয়ের নাম ভাঙিয়ে, এমপির অগোচরে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। অথচ সারজমিন তদন্তে জানা যায় দলীয় সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী এমপি মহাদয় নিরপেক্ষ থাকলেও এমপির নাম ভাঙিয়ে লাল ও নজরুল ইসলাম ইদু- নজরুল ইসলাম সাত্তারের জোরেশোরে নির্বাচণী প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। এতে করে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র আওয়ামীলীগ নেতা জানান, এমপি নূর মোহাম্মদের জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে তখনই নজরুল ইসলাম ইদু ও ছাইদুর রহমান লাল এমপির আপন ভাই সাত্তারকে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী করিয়েছেন। একারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় নিজের ভাইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এমপি নূর মোহাম্মদ। ছাইদুর রহমান লাল ও নজরুল ইসলামের এমন কর্মকান্ড নিয়ে ইতিমধ্যে দলের কর্মীরা বিব্রত হয়ে পড়েছেন। তাই দলের নেতাদের দাবি দলকে সুসংগঠিত করতে ও এমপির সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া হোক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)