রফিকুল ইসলাম :
জামালপুর সদর উপজেলার অন্তর্গত দক্ষিণাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র দিগপাইত উপশহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে কাঁচাবাজার সংলগ্ন মাংসের দোকানে প্রায় দুই বছর ধরে দিগপাইত গ্রামের হাফিজুর রহমান (৪৫) কেমিক্যাল রং মিশিয়ে ফ্রিজিং গরুর মাংস বিক্রি করে আসছিল। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ওই মাংস ব্যবসায়ীর দোকান থেকে পলিথিনে মোড়ানো ফ্রিজিং গরুর মাংসসহ মাংসের তেল, কিডনি, ফেরফা, কলিজার টুকরার বস্তা ও কেমিক্যাল রংয়ের বোতল সাংবাদিকরা হাতেনাতে ধরেন। তখন হাফিজুর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, কেমিক্যাল রং মিশিয়ে ফ্রিজিং মাংস বিক্রি করাটা ভুল হয়েছে। এগুলো আপনি কোথা থেকে আমদানি করেন? এই প্রশ্নের জবাব দিতে হাফিজুর তখন অপারগতা প্রকাশ করেছিল। পরে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় বিষয়টি নিয়ে নিউজ ছাপা হলে, সামাজিকভাবে বিষয়টি সকলের সামনে চলে আসে। তার পরেই প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহলের টনক নড়ে। কয়েকদিন পরে দিগপাইত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান অত্র ইউনিয়নের সকল মাংস ব্যবসায়ীদের নিয়ে পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান তালুকদার এবং ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম উজ্জ্বলসহ আরও বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল মাংস ব্যবসায়ীকে গরু জবাই করার আগে ইউনিয়ন পরিষদে এসে চৌকিদারকে ১৫০ টাকা দিয়ে গরু দেখিয়ে তারপর জবাই করতে হবে এবং মাংস ব্যবসায়ীরা ইউনিয়নের বাইরে থেকে মাংস কিনে এনে বিক্রি করতে পারবে না। গাই গরু জবাই করা যাবে না। ষাঁড় গরু এবং বহন গরু জবাই করতে হবে। ষাঁড় গরুর মাংস কেজি ৭০০ টাকা ও বহন গরুর মাংস ৬৮০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত গত মাসের ২২ তারিখ থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সচেতন মহল ও সামাজিকভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তকে সঠিক এবং বলবদ রাখার কথা বলেছে। কেউবা আবার পৌরসভা বা সরকারি বাজারের মতো গরু জবাইয়ের ক্ষেত্রে সঠিক আইনি প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন চাচ্ছে। সচেতন মহল প্রশাসনকে এই অসাধু মাংস ব্যবসায়ীদের দিকে নজর রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
<!- start disable copy paste –></!->
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন