মো জাকির হোসেন অপু |
তিন শত পয়ষট্টি টাকায় কেনা,
মাস দু—এক যেতেই
তলা খুলে ভৌ দৌড়!
কুড়িয়ে এনে……. মুচিখানায় ভর্তি,
মুচি বেটাও……. দু পায়ে ঠেসে,
তলা চেপে…….. দিলো সেলাই করে।
দরদামে ত্রিশ টাকা।
বেচারা জুতো…… মুচিখানায় যাবে,
আর পলিশ হবে না…….. তাকি হয়?
তাহলে আরো ত্রিশ টাকা।
এই নিয়েই চললো মাস দেড়—এক।
রাস্তার ধারে সুতোর জীবনদশায়
আবার চির ধরলো।
তলা খুলে ভৌ দৌড়।
যাও…….. এবার মুচি খুঁজো!
কই পাই? কই পাই?
জুতো হাতে কি হাটা যায়।
রিক্সায় চেপেই বিশ টাকা।
এবার আর……
সেলাই হবে না?
হাতুরি পিটিয়ে লোহা ঠুকে
তলা শক্ত করে দিলো।
চল্লিশ টাকার দরে।
কিছু দিন যেতেই,
কিভাবে যেন?
জুতোর লোহা পায়ের তলায় ঢুকে পরলো
ওরে বাবা…..!
ইসসসসসসস….!
টেনেটুনে বের করেই
ভৌ দৌড় হাসপাতালে।
বলি…….ডাক্তার বাবু
সুইয়ের গুতটা কি খেতেই হবে?
আহহহহহহ…. ওহহহহহহ….
দাওয়াই ও সুইয়ের গুত আড়াইশ টাকা।
যাক বাবা……..!
বড় বাচা বাঁচলাম, অল্পের উপরে।
এই ভাবে আরো দেড় মাস।
আজ বা জুতোর তলাটা ফুঁঁটো হয়ে গেছে,
সাড়াতে কত লাগবে বলত?
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন