মাদারগঞ্জ যমুনা নদী ভাঙনে আবাদি জমি ফসল ঘর বাড়ি নদী গর্ভে; ভাঙন প্রতিরোধ জিও ব্যাগ

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন
0

হাফিজুর রহমান \
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা ১নং চরপাকেরদহ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পাকরুল গ্রামে যমুনা শাখা নদী ভাঙনে আবাদি জমি ফসল ও বসতঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ও গ্রামের সোফিয়া, ফকির আলী, আশরাফ পরামানিক ও সাবেক মেম্বার আকবর হোসেন বলেন, এখানে বাড়িঘর ছিল হঠাৎ করে যমুনার একটা শাখা এসে অনেকগুলো বাড়ি ঘর ভেঙ্গে যায়। আমাদের আবাদের জমি ছিল, অনেক কলার বাগান শসার আবাদ ছিল মরিচ পাট ধানের আবাদ ছিল সবকিছু নদীর গর্ভে চলে যায়। আমাদের এখানকার লোকজন এখন দিশাহারা অসহায় বাড়ি করার জায়গা নাই। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন এই চরে ভুট্টা চাষাবাদ করেছিলাম। সেই জমিটা নদী গর্ভে চলে গেছে। এইপাশে বেকার যুবকরা জমিন লিজ নিয়ে কলার বাগান করেছিল, সেখানে অনেকগুলো জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ১নং চর পাকেরদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুল আলম সরদার বলেন তিন বছর আগে আশ্রয়ন কেন্দ্র ছিল পুকুর ছিল এখানে কলার বাগান ছিল গত বছর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে চলে গেছে এবার বন্যা ৪০ থেকে ৫০ পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রতিবছর নদীর স্রোতে ভেঙ্গে যা পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভাবে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেন; কাজটি চলমান রয়েছে। এরকম তিন থেকে চারটা বরাদ্দ যদি আনা যায় তাহলে এখানে যে ভূমি আছে তা রক্ষা করা যাবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলাল বলেন, নদী ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য জিও ব্যাগ ফেলছে নদীতে। এটা স্বল্প পরিসরে হচ্ছে, আরো বড় পরিসরে করার দরকার। ভাঙ্গন এরিয়ার এক কিলোমিটার পর্যন্ত জিও ব্যাগ ফেলতে পারি। আমার মনে হয় ভয়াবহ এই নদী ভাঙনের হাত থেকে মাদারগঞ্জ কে রক্ষা করতে পারবো। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন নদী ভাঙন রোধে জরুরী আপতকালিন ২৪০ মিটার জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলমান রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)