নান্দিনায় পল্লীবিদ্যুতের ভয়াবহ লোড শেডিং

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন
0

নান্দিনা প্রতিনিধি \

জামালপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নান্দিনা ও এর প্রতিবেশি এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে চলছে এ অবস্থা। একদিকে ভয়াবহ লোডশেডিং অন্যদিকে প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমে জনজীবন একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নান্দিনা ছাড়াও প্রতিবেশি শ্রীপুর, তুলসীপুর, রশিদপুর, শরিফপুর, নরুন্দি, লাহিড়ীকান্দা, ভারুয়াখালী, গোপালপুর, ঘোড়াধাপ এলাকায় শুরু হয়েছে প্রচন্ড লোডশেডিং। এখন দিনের বেলায় যখন তখন বিদ্যুত চলে যায়। একবার বিদ্যুত চলে গেছে আসার খবর নেই কয়েক ঘন্টা।
এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তারা জানান, দিন বা রাত বলতে কিছু নেই। গত এক সপ্তাহ ধরে এক ঘন্টা বিদ্যুত চালু থাকলে আরেক ঘন্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে। এভাবে দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০ থেকে ১২ঘন্টা বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বিদ্যুত না থাকায় চলতি ইরি—বোরো আবাদে সঠিক সময় এবং পর্যপ্ত সেচ দেয়া যাচ্ছে না। সময় মতো সেচ না দেয়ায় ক্ষেতেই ধানী জমি চৌচির হয়ে যাচ্ছে।
রানাগাছা গ্রামের কৃষক বজলুর রহমান জানান, ধান ক্ষেতে এখন শীষ বের হচ্ছে। শীষ বের হওয়ার সময় ধান গাছের গোড়ায় পানি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে ধানী জমিতে পানি সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে ধান ক্ষেতে শীষ বেরুনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পলাশতলা গ্রামের গোলাম মোস্তফা জানান, তাদের এলাকায় বহু ধান ক্ষেতে পানির অভাবে ফেটে গেছে। যতক্ষণ বিদ্যুত থাকে ততক্ষণ সেচ পাম্প চালু থাকলেও সবার ভাগ্যে পানি ক্ষেতে নেয়া সম্ভব হয়না। কারণ সময়মতো বিদ্যুত না থাকায় পানির জন্য জটলা সৃষ্টি হচ্ছে। পাম্প মালিকদের সাথে কৃষকদের এনিয়ে ঝগড়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এদিকে আর মাত্র কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। চলতি রমজানে তারাবি নামাজ, ইফতার ও শেহরী খাওয়ার সময় বিদ্যুত থাকেনা। এতে মুসুল্লিরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
মার্কেটগুলোতে এখন ক্রেতাবিক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। ঘন ঘন বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অবর্নণীয় দুভোর্গের শিকার হতে হচ্ছে। প্রচন্ড তাপদাহে জীবন এখন চরম ওষ্টাগত। ঘর থেকে বাইরে বের হলেই গরম ও তাপে শরীর পুড়ে যাওয়ার অবস্থা হচ্ছে।
বিভিন্ন দোকানগুলোতে আইপিএস থাকলেও বিদ্যুত সংকটের কারণে আইপিএস চার্জ হচ্ছে না। এতে ঘুরছে না বৈদ্যুতিক পাখা। গরমে অস্থির সবাই।
প্রসঙ্গক্রমে কথা হয় নান্দিনা জোনাল অফিসের এজিএম শামীম খানের সাথে। তিনি জানান, নান্দিনা জোনাল অফিসের জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৬ থেকে ১৭ মেগাওয়াট। অথচ প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে ৫—৬ মেগাওয়াট। যে কারণে আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)